Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124

অস্থিভঙ্গ নিচে বর্ণিত ৩ ধরনের।যথা-
যে ধরনের অস্থিভঙ্গে ভাঙ্গা অস্থি চামড়া বিদীর্ণ করে বের হয় না তাকে সাধারণ হাড়ভাঙ্গা বলে। এ ধরনের অস্থিভঙ্গের আরেক নাম বদ্ধ অস্থিভঙ্গ ( Closed fracture) অনেক সময় অস্থি বেঁকে যায়। একে গ্রিনস্টিক অস্থিভঙ্গ ( Greenstick fracture ) বলে।
সাধারণ অস্থিভঙ্গের লক্ষণঃ লক্ষণগুলো হচ্ছে ফুলে যাওয়া; কালশিরা পড়া; থেকে থেকে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া, কিন্তু ব্যথা সারতে দেরি হওয়া, কাঁটা ফোটানোর অনুভূতি জাগা, অসাঢ় বোধ হওয়া; পদ ও সন্ধির নিশ্চিত ভুল জায়গায় স্থাপন; সামান্য জিনিসও বহনে কষ্ট পাওয়া ইত্যাদি। হাত, পা অথবা সন্ধির আকার পরিবর্তন।
প্রাথমিক চিকিৎসাঃ ভাঙ্গা হাড়ের জায়গাটি যেন ফুলে না উঠে সে জন্য আঘাত পাওয়া জায়গা ৬-১০ ইঞ্চি উঁচুতে রাখতে হবে। দেখা যায় যে, সাধারণ অস্থিভঙ্গ ৮ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়।
যৌগিক হাড়ভাঙ্গা উন্মুক্ত হাড়ভাঙ্গা ( open fracture ) নামেও পরিচিত। সাধারণত খেলাধুলার সময় কিংবা সড়ক দূর্ঘটনায় এ ধরনের হাড়ভাঙ্গা দেখা যায়, তখন হাড়ের টুকরা চামড়া ভেদ করে বাইরে আসে। এটি বেশ জটিল হাড়ভাঙ্গা কারণ এতে প্রচুর পরিমান রক্তপাত হয় এবং দ্রুত সংক্রামণ ঘটে।
যৌগিক হাড়ভাঙ্গার প্রকারভেদঃ হাড়ভাঙ্গার প্রকৃতির ভিত্তিতে যৌগিক হাড়ভাঙ্গাকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।
ধরন ১ঃ ক্ষতের পরিমাণ কম, চামড়া ১ সে.মি. -এর বেশি ক্ষত দেখা যায় না এবং রক্তপাতও কম হয়।
ধরন ২ঃ ক্ষতের পরিমাণ বেশি, চামড়ায় ১ সে.মি. ক্ষত, এর বেশি ক্ষত, টিস্যুর ক্ষতি দেখা যায় না এবং চামড়ারও তেমন ক্ষতি হয় না।
ধরন ৩ঃ এক্ষেত্রে চামড়া ,টিস্যু এবং হাড়ের মারাত্মক ক্ষতি হয়। রক্তপাত, সংক্রামণ এড়াতে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।
যৌগিক হাড়ভাঙ্গার লক্ষণঃ হাড় ভেঙ্গে টিস্যু ও চামড়া ভেদ করে বেরিয়ে আসা, প্রচুর রক্তপাত ও যন্ত্রণাময় ক্ষত সৃষ্টি হওয়া যৌগিক অস্থিভঙ্গের লক্ষণ।
জটিল হাড়ভাঙ্গাকে নানা ভাগে ভাগ করা যায়,এদের মধ্যে প্রধান দুটি হচ্ছেঃ
১.বহু-টুকরাবিশিষ্ট ( Multifragmentary fracture ): এক্ষেত্রে হাড় অনেকগুলো ছোট টুকরায় পরিণত হয়।
২.কয়েক-টুকরা বিশিষ্ট ( Comminuted fracture ): এ ধরনের জটিল হাড়ভাঙ্গায় হাড়ের টুকরাগুলো আগের ধরনের চেয়ে সামান্য বড় এবং সংখ্যায় কম থাকে।