অগ্রমস্তিষ্ক

অগ্রমস্তিষ্ক সাধারণত ৩ ভাগে বিভক্ত। এর ৩টি অংশ হচ্ছেঃ

অগ্রমস্তিষ্ক

অগ্রমস্তিষ্ক সাধারণত ৩ ভাগে বিভক্ত। এর ৩টি অংশ হচ্ছেঃ-

  • সেরেব্রাম
  • থ্যালামাস ও
  • হাইপোথ্যালামাস
সেরেব্রাম

দুটি বড়, কুণ্ডলি পাকানো ও খাঁজবিশিষ্ট খণ্ড নিয়ে সেরেব্রাম গঠিত। খণ্ড দুটিকে সেরেব্রাল হেমিস্ফিয়ার ( Cerebral hemisphere ) বলে। সেরেব্রাম মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ ( মস্তিষ্কের ওজনের প্রায় ৮০% ই হচ্ছে সেরেব্রাম )। খণ্ড দুটি ভেতরের দিকে কর্পাস ক্যালোসাম নামে চওড়া স্নায়ুগুচ্ছ দিয়ে যুক্ত। পৃষ্ঠতল নানা স্থানে ভাঁজ হয়ে উঁচু নিচু অবস্থায় থাকে। উঁচু জায়গাকে জাইরাস (Gyrus ) এবং নিচু জায়গাকে ফিসার বলে। ৪টি প্রশস্ত ফিসার ( Fissure ) থাকে ( সেন্ট্রাল, প্যারাইটো-অক্সিপিটাল এবং ল্যাটেরাল ফিসার )। সেরেব্রাল হেমিস্ফিয়ার ৪টি সুস্পষ্ট খন্ডে বিভক্ত হয়ে পড়ে,যথা- ফ্রন্টাল লোব ( Frontal lobe ), প্যারাইটাল লোব ( parietal lobe ), অক্সিপিটাল লোব ( Occipital lobe), টেম্পোরাল লোব ( Temporal lobe )। সেরেব্রামের বহিঃস্তর গ্রে ম্যাটার ( Grey matter ) এ গঠিত। এর নাম সেরেব্রাল কর্টেক্স ( cerebral cortex ) এবং সেরেব্রামের অন্তঃস্তরটি হোয়াইট ম্যাটার ( white matter ) এ গঠিত এবং সেরেব্রাল মেডুলা ( cerebral medulla ) নামে পরিচিত। (উল্লেখ্য যে সুষুম্নাকাণ্ডের ক্ষেত্রে হোয়াইট ম্যাটার থাকে বাইরের দিকে, আর গ্রে ম্যাটার থাকে ভেতরের দিকে )। ডান সেরেব্রাল হেমিস্ফিয়ার দেহের বাম পাশকে এবং বাম হেমিস্ফিয়ার দেহের ডান পাশকে নিয়ন্ত্রণ করে।

থ্যালামাস

প্রতিটি সেরেব্রাল হেমিস্ফিয়ারের সেরেব্রাল মেডুলায় অবস্থিত এবং গ্রে ম্যাটারে গঠিত একেকটি ডিম্বাকার অঞ্চল।

হাইপোথ্যালামাস

(গ্রে ম্যাটার নির্মিত) হাইপোথ্যালামাস একটি সূক্ষ অংশের সাহায্যে পিটুইটারি গ্রন্থির সঙ্গে সংযুক্ত। এটি থ্যালামাস এর নিচে অবস্থিত। ভ্যাসোপ্রেসিন ও অক্সিটোসিন ক্ষরণ করে।

Md. Rasel Hossain
Md. Rasel Hossain
Articles: 100

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *