স্থুলতা
আদর্শ দৈহিক ওজনের ২০% বা তার বেশি পরিমাণ মেদ দেহে সঞ্চিত হলে তাকে স্থুলতা বলে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে শাখায় স্থুলতার কারণ, প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার সম্বন্ধে আলোচনা করা হয় তাকে বেরিয়ামেট্রিকস বলে। দেহের ওজন সূচক Body Mass Index/BMI 30 kg/m2 এর অধিক হলে তারা স্থুল প্রকৃতির বলে বিবেচনা করা হয়।
এশিয়ান মানুষের স্থুল হওয়ার প্রবণতা ইউরোপিয়ানদের চেয়ে কম। গড়ে স্থুলতার কারণে মানুষের গড় আয়ু ৭-৮ বছর কমে যায় এবং অতিমাত্রায় স্থুলতার ( ৩য় স্তর) কারণে মানুষের গড় আয়ু ১০ বছর কমে যায়। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ৬৪% পুরুষ এবং ৭৭% নারী মহিলার ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস স্থুলতার সাথে সম্পর্কিত।
স্থুলতার কারণ
- জিনগতঃ স্থুলকায় বাবা-মায়ের সন্তান প্রায় ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে স্থুলকায় হয়।
- পারিবারিক জীবনযাত্রা
- আবেগ
- কর্মক্ষেত্র
- মানসিক আঘাত
- বিশ্রাম অভাব
- লিঙ্গভেদেঃ নারীতে মেদ জমার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- গর্ভাবস্থাঃ প্রতিবার গর্ভধারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীদেহে ৪-৬ পাউন্ড ওজন বেড়ে যায়।
- নিদ্রাহীনতাঃ রাতে ৬ ঘন্টার কম ঘুমালে স্থুলতা বেড়ে যায়।
- শিক্ষার অভাব
- অসুখঃপলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম হলে নারীদেহে, কুসিং সিনড্রোম, হাইপোথাইরেডিজম প্রভৃতি।
- ওষুধঃ কর্টিকোস্টেরয়েড, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস, জন্মবিরতিকরণ বড়ি, ইনসুলিন প্রভৃতি।
সৃষ্ট রোগ
- করোনারি হৃদরোগ
- উচ্চ রক্তচাপ
- স্লিপ অ্যাপনিয়া
- স্ট্রোক
- টাইপ-২ ডায়াবেটিস
- অস্টিও-আর্থ্রাইটিস
- যকৃত ও পিত্তথলির অসুখ
- ক্যান্সার ( স্তন ও কোলন )
- বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি
প্রতিরোধ
- নিয়মিত ব্যায়ামঃ সপ্তাহে অন্তত ১৫০-২৫০ মিনিট দ্রুত হাঁটা বা সাঁতার কাটা প্রয়োজন।
- স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যগ্রহণ
- খাদ্য নিয়ন্ত্রণ
- লোভনীয় খাবার পরিহার
- দেহের ওজন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা
- চিকিৎসাঃ Orlistat, Lorcaserin, Phentermine প্রভৃতি।
- গ্যাস্ট্রিক বেলুন ব্যবহার
- বেরিয়াট্রিক সার্জারি।
তথ্যসূত্রঃ ১.bn.wikipedia.org